Friday, June 15, 2018

চন্দ্রাহত ০১

অবাক জোছনায় ভেসে যায় হায় 
অনন্ত চরাচর 
মিলনের কথা,আসে কেন হেথা  
বেঁধেছি বালির ঘর, 
ধূলোকুটো হয়ে মিশে আছি ওরে 
পড়ে আছি পথের পর, 
অজানা পথের একাকী পথিক 
জানিনা কে আপন কে পর।  


নাসরীন আখতার ০৮|০৬|২০১৮ইং

Wednesday, June 13, 2018

অপূর্ণ ইচ্ছাগুলোর পূর্ণতা

বাদলে প্রথম যে কদম ফুলটি পৃথিবীতে পদধ্বনি জানিয়েছে,
তারই জন্য এই বাদল দিনের আগমন।
ভরা বাদলে নৌকোয় ঘোরা ছিল
জীবনে অদ্ভুত ভালো লাগার শিহরিত দিন,
যা শুধু হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে হবে।
কিন্তু ঝমঝম বৃষ্টিতে রিকশায় চড়ে দূরে
কোথাও আজ হারিয়ে যেতে পরিনি।
কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা
বোধ হয় আমার জন্য আজ নয়।
এই বাদলের সবুজ, সজীব ধারার অপূর্ণ ইচ্ছাগুলোর পূর্ণতা
 নিয়ে ঝরে পড়ুক অঝোরধারায়...

জীবন থেকে অনেক দূরে

ভাবনাগুলো জীবন থেকে অনেক দূরে সরে যায়
জীবন শুধু তার নিয়মেই বয়ে যায়
না শুনে না আমার কথা,
না শুনে সে তোমার কথা।
আমরা কেবল দেখতে পারি
দেখতে পারি বয়ে চলা জীবনটা।
অনেক কিছু করতে পারি ভাবনা আসে-
করতে গেলেই বুঝতে পারি জীবন কি সে,
সেই তো জীবন সুখে-দুখে আটাকে থাকা।

Monday, June 11, 2018

এই চোখ দেখে তুমি বুঝবে না , কতোটা ভাঙনের চিহ্ন
জীবনের কতটা পরাজয় ছুঁয়ে তার বেড়েছে বয়সের মেধা ।
অভিমানে কণ্ঠ বুজে আসে , নিরপরাধ বাসনার
চোখে স্বচ্ছ কাঁচের মতো জমে থাকে জল , টলমল-
তবু ঝরেনা কখনো .......

রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

Wednesday, June 6, 2018

বৃষ্টি

আহ মিষ্টি !
নরম তুলায়
ভাসে সুখ,
মেঘের ওপারে 
কিছু বৃষ্টি ।

মাখনে কোমলে
যেন স্বাদ
পূর্ণিমা চাঁদে
প্রিয় রাত,
ধোঁয়া ধোঁয়া আবছায়া দৃষ্টি,
মেঘের ওপারে কিছু বৃষ্টি,
আহ মিষ্টি! 

রেশমে বুননে 
যেন চাই,
লজ্জায় তবু 
মরে যাই,
গলে পড়ে পাথরের সৃষ্টি,
মেঘের ওপারে কিছু বৃষ্টি, 
আহ মিষ্টি! 

Sunday, June 3, 2018

রগরগে রমণের রঙ্গন।

তোমার বুক ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়ার আগে
তুমি কি একবার তাকিয়ে ছিলে নিরপেক্ষ নক্ষত্রের দিকে?
একটু পর যেখানে তুমি চলে যাবে 
মিথ্যার মর্মান্তিক মহা-আক্ষেপ মাথায় নিয়ে;

তোমার মস্তিষ্কের নিউরনের ভেতর  তখন কি

ভেজে উঠেছিল দূর ভৌতিক জাহাজের সাইরেন অথবা 
আত্মজাদের আত্মার অকৃত্তিম আর্তনাদ?
যাঁদের নি:শ্বাস তুমি ভীষণ লুকিয়ে রাখতে 
তোমার হৃৎপিন্ডের আরক্ত অনুভাঁজে।

সীমাহীন ষড়যন্ত্রের সীসা তোমাকে শেষ 

সম্ভাষণ জানালো মধ্যরাতে নষ্ট রাজনীতির মতো।।

তুমি অনবদ্য সুন্দরী ! আব্দুল্লাহ বিন জাহিদ

কাঁপা কাঁপা তোমার কোমল ঠোঁটে
রোজ যেন সদ্য গোলাপ ফোটে,
চকচক করা তোমার বক দাঁতে
জোনাকিরা হাসে প্রতি রাতে,
তুলতুলে ওই প্রিয় দুই গাল
লজ্জা পেয়ে অল্পতে হয় লাল!

তোমার নাক বেয়ে উপরেতে যেয়ে
দু'পাশে দু'চোখে-দেখি মায়ার সাগর,
সেখানেতে ডুবে জানিনা তো কত
রাত শেষে করেছি যে ভোর।  

দেখে তোমার যুগল ভ্রু-
ভাবি এইতো তবে শুরু,
কপালে যেয়েও করতে পারিনি শেষ,
আজ ফুলের অভিযোগে যুক্ত
আমার কবিতায় হলো মুক্ত
তোমার কালো মেঘের কেশ।  

কবিতাটি আব্দুল্লাহ বিন জাহিদ ভাইয়ের অনুমতিক্রমে তার ফেসবুক হতে নেয়া হয়েছে।

Saturday, June 2, 2018

হারানো বিজ্ঞপ্তি

কই রে আমি?
নাই দেখা নাই
আমার আমি আজ,
খুঁজে বেড়াই নিত্যদিনে
মনের প্রতি ভাঁজ।

মনের ভাঁজে প্রতি কাজে
দ্বিধা এবং দ্বন্দ্ব,
আলোয় পোড়া চোখের ছলে
আমায় সাজায় অন্ধ।

শুনতে যে পাই,
তুমি নাকি
দূর বিদূরে দেখো?
'আমি'হারা আমায় তবে
সেই মধুতে মাখো।

মধুর চাকে দামের বহর,
মিথ্যা সুখের ছাপ,
বিনে কথায়
কথা রটায়,
মস্ত তোমার পাপ।

আমার পাপে তোমার পাপে
দারুন কাটাকাটি,
এবার তবে পেলে আমায়
ঘু্ঁচবে ঘাঁটাঘাঁটি।।

এই দিনটা তাহার

তোমায় ভেবে
রাত্রি জেগে,
হয়নি দেখা
আমার সূর্যোদয়,
রোজ রোজ না-
মাঝে মাঝে
আমার এমন হয়...

সূর্যটা তাই মান করেছে,
দিনটা যে আজ
কেমন ঘোলাটে ,
তোমায় ভেবে
দিনেও যে
চোখ রাখিনি
বইয়ের মলাটে।

অবহেলায় দূর করেছি
আকাশ থেকে
নামা ছোট্ট প্রেম,
তোমায় ভেবে
শুধু তোমায়
দিনটা হলো  
চার দেয়ালের ফ্রেম।।

Friday, June 1, 2018

গিয়েছি হারিয়ে

হতাশায়
মনে হয়-
ভেঙ্গে যাই
গুঁড়িয়ে,
জ্বলে মন
প্রতিক্ষণ-
মারে যে 
পুড়িয়ে।

সময়টা 

চলে যায়-
আমি ঠায়
দাঁড়িয়ে,
হিসেবের
খাতাটা-
রাখে ঋণ
বাড়িয়ে।

আঁধারে

কুয়াশায়,
একা পা-য়
বেড়িয়ে,
দূরন্ত
পথ ধরে,
সীমানা
ছাড়িয়ে-
আসবোনা 
ফিরে আর,
গিয়েছি 
হারিয়ে।।  

প্রিয়তমেষু বুঝে নিও

প্রেয়সী কিছু
আড়ালে থাকে,
মেঘের ওপারে 
নীলের মুখোশে
লুকিয়ে বাঁচে ।

গোপনে আশে

খোপায় বেলীফুল,
কখনো শোনাবে 
'সুনীল' বা 'নজরুল'।

কপট মানে যে 

খুঁজবে আদর 'তার'
প্রেয়সী এমন
বোঝার সাধ্য কার? 

ভালবাসি তাই কাঁদতে পারি ----টিপু রহমান

হৃদয়ে ধারণ করেছি প্রিয়তমা
সশরীরে সর্বত্র থাকা না থাকায় কি আসে যায়?
প্রেমতো এক অনন্ত দহনের নাম
এ প্রেমই আবার ফুলের বাগান

চোখ বন্ধ করলেইতো পেতে পার আমাকে
দূরে থেকে খানিক না হয় পুড়ালে বিরহে নিজেকে
প্রাপ্তিতে সুখ, অপ্রাপ্তিতে বিরহ আবেগ ঘনমেঘ ভাসে
অবশেষে দু'চোখ বেয়ে কান্না হয়ে নেমে আসে
খুব বেশি ভালবাসলেই এভাবে কাঁদা যায়...

ক'জন আছে কান্নার এ সুখ পায়?
আহা! আমরাতো ভালবাসি
তাই এভাবে কাঁদতে পারি...

এ নিখাদ কান্নার স্ফটিক স্বচ্ছ জল
আমাদের আগামি পথ চলার দৃঢ় মনোবল...
সকাল ১১.৪৮ মিনিট
১৯/০২/ ২০১৮ ইং

রামপুরা বনশ্রী,ঢাকা।


লেখাটি শ্রদ্ধেয় টিপু রহমান ভাইয়ের অনুমতিক্রমে উনার ফেসবুক টাইমলাইন হতে নেয়া হয়েছে।

শব্দমানব

যে কিছু পারেনা,
সে কবিতা লিখে ।
নানান শব্দে 
হারানো নিজেকে,
জড়িয়ে রাখে ।

সোজা জিনিস
বিলাসী হয়ে 
ঘুরিয়ে দেখে,
সাধারণ কোন পাখির কাছেও
উড়তে শেখে ।

চলতি স্রোতে ভাসতে গিয়েও
যায় যে বেঁকে।
স্বপ্ন হারা পৃথিবীটা
ছন্দে মাখে ।

যে কিছু পারেনা
সে কবিতা লিখে ।

Thursday, May 31, 2018

একটি নারীবাদী অথবা বাস্তববাদী ছড়া

একশ্রেণীর এক জাতি আছে, পুরুষ তাহার নাম
নামেই সেরা, কর্মে কি রূপ ? তাই করি বয়ান

তারাই নাকি সর্বশ্রেষ্ঠ, সকল কাজের কাজী

বউ মরিলে ফের জুটাবে, তিনটে মাসের বাজি
কারণ নাকি! পুরুষ মানুষ কেমনে একা থাকে!!
যত্ন-আত্তি কে করিবে, অসুখে-বিসুখে ?!

ট্রেনে-বাসে, অফিস পাড়ায়, মেয়েরা চুপ-ই থাকে

রাজনীতি আর খেলার তরে , পুরুষ তুবড়ি ছোটায় মুখে
বেশি বলার অপবাদ তাও মেয়ের দিকেই যায়,
তারা ইচ্ছেমতোই কানুন সাজায় নিজের সুবিধায় ।

কায়া-মায়া, মননে ও গুণে অদ্বিতীয়া নারী

নজরুলের-ই শস্যলক্ষী, রঙে রূপে সঞ্চারি
সম্মানটা দেখাও শুধু, প্রাপ্য এটা তাদের
ভাঙবেনা জোড় ,ভাঙবেনা ঘর, আর সংসারটা সাধের।

তুমি এবং তুমি বলেই

তোমার জন্যে
থরে থরে
বহু মেঘের
কৃষ্ণ রাত,
তোমায় বিনে
এই প্রহরে
হাতে কি আর
থাকবে হাত??

তোমার জন্যে
জলছবিটা
রংতুলিতে
রাঙেনা,
তোমায় ভেবে
আমি জেগে,
ঘুমটা তোমার
ভাঙেনা।

থাকতে পারো
অবিশ্বাসে,
কিন্তু,বরং,
কেন-র দলে,
এমন মধু
সত্যি শুধু
আমিই এবং
আমি বলে।

বিষের দেয়াল
তোমার খেয়াল
ভালোবাসায়
মধুর হোক,
তুমি এবং
তুমি বলেই
এ কবিতায়
আমার ঝোঁক । 

Tuesday, May 29, 2018

নারী

ভালোবাসতে চেয়েছি তোমায়
বাধ সেধেছ তুমি,
ভালোবাসিনা তোমায় তাই
কাঁদলে সেই তুমি।

চাইনি আমি,চেয়েছ তুমি

তাই বেধেছি ঘর,
চাইনি আমি-তবুও তুমি
ঘর ভেংগে হলে পর!

ভাংগা-গড়ার নিঠুর খেলার

সব খানেই তুমি যে
জবাবদিহী করার তাই
আমি তবে কে?

০৮.০৯.২০০২

Saturday, May 26, 2018

অস্তাচলের শেষ বনলতা তুমি

অস্তাচলের শেষ বনলতা তুমি 
এসেছো শেষ অক্ষে আমার,
জীবন নৌকার শেষ বৈঠা হাতে
সময় নেই ধূসর ময়দানে যাবার।

অস্তাচলের শেষ বনলতা তুমি
অষ্ট প্রহরের অন্তিমক্ষণে আমি,
সময় নেই স্নিগ্ধ ভালবাসবার
জীবনযু্দ্ধের ফেরারী সৈনিক

অস্তাচলের শেষ বনলতা তুমি
শতাব্দী ধরে জ্বলে 'কয়লা-অবিকল
ললাটে জ্বলে আমার অন্ধকারের সীসা
বিদায় বেলায় সবই যেন অবিচল ।।

Wednesday, May 23, 2018

অবশেষে

কি অদ্ভুত!

একটা এস।এম।এস লেখার কেউ নেই আমার ।

একটা চিঠি, তাও যদি পাঠাতাম কারো কাছে,

যে কিনা ভাসে ধবল সাদার দেশে।

একটা গান যদি শোনাতে পারতাম,

নিদেনপক্ষে দুয়েকটি লাইন !

এমন গানের শেষে যেন নিরবতা আসে ।

একটা কবিতা যদি জানতাম !


মাঝে মাঝে মনে হয়, শখ হয় –

যদি এমন কেউ থাকতো

হয়তো ভোরে কিংবা গোধূলী বেলায়

দুয়েক ছত্র আবৃত্তি করতাম সশব্দে !


মাঝরাতে কারো পাশে নিবিষ্টে বসে,

হাত ধরা হয়না আমার।

শরতে মেঘের ভেলায় ভেসে, আকাশে

কারো কথা ভেবে ফুল কেনা চাইনা আমার ।

দিনের শেষে এ পথে কেউ থাকেনা,

ভালোবেসে, কিংবা কিছুটা রাগ, ঘৃণা, অনুরাগে ।


জানি কেউ নেই, কিছু নেই আমার – ভালোবাসবার ।

হয়তো ছিলোনা কখনো থাকবার...

লেখাটি প্রিয় শামীম ভাইয়ের অনুমতিক্রমে ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

Tuesday, May 22, 2018

প্রশ্রয়, প্রশান্তি আর প্রেম


তুমি আমাকে প্রশ্রয় দিয়ো না -
তোমার যুগল ঠোঁটে চেপে থাকা মুচকি হাসি-
প্রচ্ছন্ন ইশারা হবে আমার কাছে,
তোমার বলে যাওয়া এলোমেলো শব্দ-  
হয়ে যাবে অনবদ্য কবিতা । 

বহুকালের অযত্নে বেড়ে ওঠা হৃদ্যতা-
হঠাৎ যত্নে ব্যাকুল হতে চায়,
তাইতো বলি- 
ওরকম আগ বাড়িয়ে আমার খবর নিয়োনা ।

একটু হেসে বলে যাও যদি- 
শ্রাবণ মেঘের খবর,
আমার ভাবনার নদী 
দু'কুল ছাপিয়ে যায়,
ভেবে বসি,আরে এই বুঝি বরষা এলো!

আবারো বলছি,
হ্যাঁ,তোমাকেই বলছি,
মিনতি করছি,প্রার্থনা করছি,
এভাবে তুমি প্রশ্রয় দিয়ো না,
আমার অজান্তেই সেসব প্রেম হয়ে যাবে!

Monday, May 21, 2018

আজ বিকেলে

অনর্থকেই উষ্ণ ভীষণ মন-
সে খবরটা যে করে হোক
লিখুক, বলুক, ছলকে উঠুক
আকাশ,মাটি ঝলসে উঠুক
তার হৃদয়ে যে করে হোক
জানা প্রয়োজন - 
তার বিরহে এই সময়ে
দীর্ঘ আয়োজন ।

প্রজাপতির পাখায় করে ভর

বসন্ত আজ রইলো উচাটন,
মায়ার সুরে তোমার তরে ওই
আজ বিকেলেই নিবিড় নিমন্ত্রণ ।
কালো মেঘের ডানায় ঝড়ের দাগ,
রক্তে তোমার সম্মোহনী ডাক,
ভাসে যদি আজকে মেঘের দল,
নিন্দুকেরা করুক নিরীক্ষণ,
এই সময়ে তোমার আমার 
খুব গোপনে হারিয়ে যাবার,
বিভোর হবে মধুরিমার 
মিষ্টি আলাপন ।

সমুদ্রের হাতছানি

চলে যেতে চাই, 
মাইকেল ফ্যারাডে কিংবা বেঞ্জামিন ফ্রাংক্লিন,
অথবা এডিসনের আলোকিত শহর ছেড়ে ;
এই শহর আমাকে টানেনা ।

ভুলে যেতে চাই মার্ক জুকারবার্গের নীল রঙ এ রঙিন সময়

কিংবা বিল গেটসের এক্সেল-অফিসের
রোবোটিক হিসাব-নিকাশ ।

যেখানে সূর্যের প্রখর রোদে চলে ক্ষুধা-নিবারণ যজ্ঞ,

চন্দ্রালোকে বিশ্রামে খেলে অপার্থিব শব্দের মায়াজাল,
সেখানে সহজ জীবন, সরল হিসেবে যথেষ্ট 
আঙ্গুলের কড়-
তবে আর দেরী কেন?
চলো চলে যাই, ভুলে যাই ;
শুদ্ধ জলের উন্মাতাল স্রোতে ভেসে বেড়াই অনন্তকাল ।

Sunday, May 20, 2018

তুমি সুন্দর

নিশ্চয়ই বহুবার শুনেছো
তুমি কত সুন্দর !
আমিও যদি বলি
তবে বিরক্ত হবে?
হলে হবে,
আমার তাতে কি?
তোমাকে বিরক্ত না করে 
আমার লাভ কি?

যদি বিরক্ত না করি 

তবে কি নীল দিগন্তের নীলে
আমায় ভাসাবে?
তখন কি পাবো
অবিচল তোমায় দেখার অধিকার?

জানো নিশ্চয়ই, আমার অন্ধকার ভালো লাগে,

তুমি কি সেদিন তবে নিশিবাতি জ্বালবে না?

উত্তর যদি দ্বিধান্বিত- 

তবে আর বিরক্ত করি না কেন?
বারবার বলি শোন, তুমি সুন্দর !

যেদিন তুমি পাশে থাকবে

যেদিন তুমি পাশে থাকবে
দেখে নিও,
একটুও বিরক্ত করবোনা তোমাকে;
আমি ঠিক ঠিক নিকষ কালো অন্ধকারে তোমাকে রেখে
টেবিল ল্যাম্প জ্বালিয়েই পড়তে বসবো ...
এক হাতে তোমার মাথায় হাত বুলাবো,

অন্য হাতে বই-
মাঝে মাঝে বই থেকে চোখ তুলবো,
দেখবো-
মৃদু আলোয় 
পৃথিবীর সকল মায়া যেন 
তোমার মুখে আলো-ছায়ার খেলায় মগ্ন,
দেখবো-
আশ্চর্য এক প্রেমময় নিশীথনিবিড় ঘুম ।