Thursday, May 31, 2018

একটি নারীবাদী অথবা বাস্তববাদী ছড়া

একশ্রেণীর এক জাতি আছে, পুরুষ তাহার নাম
নামেই সেরা, কর্মে কি রূপ ? তাই করি বয়ান

তারাই নাকি সর্বশ্রেষ্ঠ, সকল কাজের কাজী

বউ মরিলে ফের জুটাবে, তিনটে মাসের বাজি
কারণ নাকি! পুরুষ মানুষ কেমনে একা থাকে!!
যত্ন-আত্তি কে করিবে, অসুখে-বিসুখে ?!

ট্রেনে-বাসে, অফিস পাড়ায়, মেয়েরা চুপ-ই থাকে

রাজনীতি আর খেলার তরে , পুরুষ তুবড়ি ছোটায় মুখে
বেশি বলার অপবাদ তাও মেয়ের দিকেই যায়,
তারা ইচ্ছেমতোই কানুন সাজায় নিজের সুবিধায় ।

কায়া-মায়া, মননে ও গুণে অদ্বিতীয়া নারী

নজরুলের-ই শস্যলক্ষী, রঙে রূপে সঞ্চারি
সম্মানটা দেখাও শুধু, প্রাপ্য এটা তাদের
ভাঙবেনা জোড় ,ভাঙবেনা ঘর, আর সংসারটা সাধের।

তুমি এবং তুমি বলেই

তোমার জন্যে
থরে থরে
বহু মেঘের
কৃষ্ণ রাত,
তোমায় বিনে
এই প্রহরে
হাতে কি আর
থাকবে হাত??

তোমার জন্যে
জলছবিটা
রংতুলিতে
রাঙেনা,
তোমায় ভেবে
আমি জেগে,
ঘুমটা তোমার
ভাঙেনা।

থাকতে পারো
অবিশ্বাসে,
কিন্তু,বরং,
কেন-র দলে,
এমন মধু
সত্যি শুধু
আমিই এবং
আমি বলে।

বিষের দেয়াল
তোমার খেয়াল
ভালোবাসায়
মধুর হোক,
তুমি এবং
তুমি বলেই
এ কবিতায়
আমার ঝোঁক । 

Tuesday, May 29, 2018

নারী

ভালোবাসতে চেয়েছি তোমায়
বাধ সেধেছ তুমি,
ভালোবাসিনা তোমায় তাই
কাঁদলে সেই তুমি।

চাইনি আমি,চেয়েছ তুমি

তাই বেধেছি ঘর,
চাইনি আমি-তবুও তুমি
ঘর ভেংগে হলে পর!

ভাংগা-গড়ার নিঠুর খেলার

সব খানেই তুমি যে
জবাবদিহী করার তাই
আমি তবে কে?

০৮.০৯.২০০২

Saturday, May 26, 2018

অস্তাচলের শেষ বনলতা তুমি

অস্তাচলের শেষ বনলতা তুমি 
এসেছো শেষ অক্ষে আমার,
জীবন নৌকার শেষ বৈঠা হাতে
সময় নেই ধূসর ময়দানে যাবার।

অস্তাচলের শেষ বনলতা তুমি
অষ্ট প্রহরের অন্তিমক্ষণে আমি,
সময় নেই স্নিগ্ধ ভালবাসবার
জীবনযু্দ্ধের ফেরারী সৈনিক

অস্তাচলের শেষ বনলতা তুমি
শতাব্দী ধরে জ্বলে 'কয়লা-অবিকল
ললাটে জ্বলে আমার অন্ধকারের সীসা
বিদায় বেলায় সবই যেন অবিচল ।।

Wednesday, May 23, 2018

অবশেষে

কি অদ্ভুত!

একটা এস।এম।এস লেখার কেউ নেই আমার ।

একটা চিঠি, তাও যদি পাঠাতাম কারো কাছে,

যে কিনা ভাসে ধবল সাদার দেশে।

একটা গান যদি শোনাতে পারতাম,

নিদেনপক্ষে দুয়েকটি লাইন !

এমন গানের শেষে যেন নিরবতা আসে ।

একটা কবিতা যদি জানতাম !


মাঝে মাঝে মনে হয়, শখ হয় –

যদি এমন কেউ থাকতো

হয়তো ভোরে কিংবা গোধূলী বেলায়

দুয়েক ছত্র আবৃত্তি করতাম সশব্দে !


মাঝরাতে কারো পাশে নিবিষ্টে বসে,

হাত ধরা হয়না আমার।

শরতে মেঘের ভেলায় ভেসে, আকাশে

কারো কথা ভেবে ফুল কেনা চাইনা আমার ।

দিনের শেষে এ পথে কেউ থাকেনা,

ভালোবেসে, কিংবা কিছুটা রাগ, ঘৃণা, অনুরাগে ।


জানি কেউ নেই, কিছু নেই আমার – ভালোবাসবার ।

হয়তো ছিলোনা কখনো থাকবার...

লেখাটি প্রিয় শামীম ভাইয়ের অনুমতিক্রমে ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

Tuesday, May 22, 2018

প্রশ্রয়, প্রশান্তি আর প্রেম


তুমি আমাকে প্রশ্রয় দিয়ো না -
তোমার যুগল ঠোঁটে চেপে থাকা মুচকি হাসি-
প্রচ্ছন্ন ইশারা হবে আমার কাছে,
তোমার বলে যাওয়া এলোমেলো শব্দ-  
হয়ে যাবে অনবদ্য কবিতা । 

বহুকালের অযত্নে বেড়ে ওঠা হৃদ্যতা-
হঠাৎ যত্নে ব্যাকুল হতে চায়,
তাইতো বলি- 
ওরকম আগ বাড়িয়ে আমার খবর নিয়োনা ।

একটু হেসে বলে যাও যদি- 
শ্রাবণ মেঘের খবর,
আমার ভাবনার নদী 
দু'কুল ছাপিয়ে যায়,
ভেবে বসি,আরে এই বুঝি বরষা এলো!

আবারো বলছি,
হ্যাঁ,তোমাকেই বলছি,
মিনতি করছি,প্রার্থনা করছি,
এভাবে তুমি প্রশ্রয় দিয়ো না,
আমার অজান্তেই সেসব প্রেম হয়ে যাবে!

Monday, May 21, 2018

আজ বিকেলে

অনর্থকেই উষ্ণ ভীষণ মন-
সে খবরটা যে করে হোক
লিখুক, বলুক, ছলকে উঠুক
আকাশ,মাটি ঝলসে উঠুক
তার হৃদয়ে যে করে হোক
জানা প্রয়োজন - 
তার বিরহে এই সময়ে
দীর্ঘ আয়োজন ।

প্রজাপতির পাখায় করে ভর

বসন্ত আজ রইলো উচাটন,
মায়ার সুরে তোমার তরে ওই
আজ বিকেলেই নিবিড় নিমন্ত্রণ ।
কালো মেঘের ডানায় ঝড়ের দাগ,
রক্তে তোমার সম্মোহনী ডাক,
ভাসে যদি আজকে মেঘের দল,
নিন্দুকেরা করুক নিরীক্ষণ,
এই সময়ে তোমার আমার 
খুব গোপনে হারিয়ে যাবার,
বিভোর হবে মধুরিমার 
মিষ্টি আলাপন ।

সমুদ্রের হাতছানি

চলে যেতে চাই, 
মাইকেল ফ্যারাডে কিংবা বেঞ্জামিন ফ্রাংক্লিন,
অথবা এডিসনের আলোকিত শহর ছেড়ে ;
এই শহর আমাকে টানেনা ।

ভুলে যেতে চাই মার্ক জুকারবার্গের নীল রঙ এ রঙিন সময়

কিংবা বিল গেটসের এক্সেল-অফিসের
রোবোটিক হিসাব-নিকাশ ।

যেখানে সূর্যের প্রখর রোদে চলে ক্ষুধা-নিবারণ যজ্ঞ,

চন্দ্রালোকে বিশ্রামে খেলে অপার্থিব শব্দের মায়াজাল,
সেখানে সহজ জীবন, সরল হিসেবে যথেষ্ট 
আঙ্গুলের কড়-
তবে আর দেরী কেন?
চলো চলে যাই, ভুলে যাই ;
শুদ্ধ জলের উন্মাতাল স্রোতে ভেসে বেড়াই অনন্তকাল ।

Sunday, May 20, 2018

তুমি সুন্দর

নিশ্চয়ই বহুবার শুনেছো
তুমি কত সুন্দর !
আমিও যদি বলি
তবে বিরক্ত হবে?
হলে হবে,
আমার তাতে কি?
তোমাকে বিরক্ত না করে 
আমার লাভ কি?

যদি বিরক্ত না করি 

তবে কি নীল দিগন্তের নীলে
আমায় ভাসাবে?
তখন কি পাবো
অবিচল তোমায় দেখার অধিকার?

জানো নিশ্চয়ই, আমার অন্ধকার ভালো লাগে,

তুমি কি সেদিন তবে নিশিবাতি জ্বালবে না?

উত্তর যদি দ্বিধান্বিত- 

তবে আর বিরক্ত করি না কেন?
বারবার বলি শোন, তুমি সুন্দর !

যেদিন তুমি পাশে থাকবে

যেদিন তুমি পাশে থাকবে
দেখে নিও,
একটুও বিরক্ত করবোনা তোমাকে;
আমি ঠিক ঠিক নিকষ কালো অন্ধকারে তোমাকে রেখে
টেবিল ল্যাম্প জ্বালিয়েই পড়তে বসবো ...
এক হাতে তোমার মাথায় হাত বুলাবো,

অন্য হাতে বই-
মাঝে মাঝে বই থেকে চোখ তুলবো,
দেখবো-
মৃদু আলোয় 
পৃথিবীর সকল মায়া যেন 
তোমার মুখে আলো-ছায়ার খেলায় মগ্ন,
দেখবো-
আশ্চর্য এক প্রেমময় নিশীথনিবিড় ঘুম ।